১৮১১ থেকে ১৮১৪ সাল অবধি মরিসন তৎকালীন সুন্দরবন এলাকার জরিপ করেন । এর পরে ও
বিভিন্ন সময়ে সুন্দরবন এলাকার জরিপ কার্য অনুষ্ঠিত হয় । কিন্তু সুন্দরবন
এলাকা অত্যন্ত দুর্ভেদ্য হওয়ার কোন একটা জরিপের মাধ্যমে বিশাল এলাকাটি সমগ্র
জরিপ কার্য সম্ভবপর হয়নি । দুর্ভেদ্য সুন্দরবনে মোট জমির পরিমান কত ও জমিদারী
বন্দোবস্তের মাধ্যমে খাজনা আদায়ের কারণে ইংরেজ সরকার সুন্দরবন এলাকা জরিপের
আয়োজন করে ।
এরপর ১৮২১ সালে সার্ভেয়ার মিস্টারনে।সাইন প্রিপে ২৬ টি তালুক জরিপ করেন ।
ফিল্ডা, অরুন নগর, ঘোলা কিস্ট পুর প্রভৃতি এলাকা এই জরিপের মাধ্যমে পরিচিত পেল
।
১৭৮৩ সালে যশোরের ম্যাজিস্ট্রেট তিলমল হেনেকেল সুন্দরবনে ভূখন্ড সরাসরি
কৃষকদের কে বন্দোবস্তের প্রস্তাব দেন তৎকালীন গভর্ণর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস
এর কাছে ০৭/০২/১৭৮৪ এ তা অনুমোদন পায় । এই প্রস্তাব অনুসারে সুন্দরবনে জঙ্গল
পরিষ্কার করে কৃষকরা যে যে নতুন এলাকায় বসতি করবেন তার জন্য প্রথম তিন বছর
খাজনা মুকুব থাকবে ।
চতুর্থ বছর থেকে বিঘা প্রতি দু-আনা, পঞ্চম বছর থেকে বিঘা প্রতি চর আনা, ষষ্ট
বছর থেকে বিঘা প্রতি ছয় আনা, সপ্তম বছর থেকে আট আনা, হিসাবে সরকার বাহাদুরকে
কর দিতে হবে । এই সব এলাকাগুলি হেনেকেলের তালুক হিসাবে পরিচিত । এরপর ১৯২৪-
১৯৩৩ সালে; ১৬ ইঞ্চি = ১ মাইল স্কেলে সমগ্র সুন্দর বনের জরিপ কার্য সম্পন্ন হয়
। এই জরিপের প্রতি জমির সীমানা নির্ধারন ও দাগ নাম্বার দেওয়া হয় । এই জরিপকে
(Cadashal Survey) বা সংক্ষেপে C.S. বলে ও এই সময়ের ম্যাপকে C.S. ম্যাপ বলে
।
২৪ পরগণা জেলা জরিপ বার্জসাহেব আভিব্যক্তি ২৪ পরগণায় রাজস্ব জরিপ করান
১৮৪৮-৫২ সালে । ১৬ ইঞ্চি = ১ মাইল স্কেলে । ১৯২৩-২৪ সাল নাগাদ ট্রাভাস জরিপ
শুরু হয় এবং ১৯২৭ সালে সমাপ্ত হয় । সমগ্র জেলায় C.S.Map নির্মানের কাজ শেষ
হয় ১৯৩৩ সালে ।
প্রশাসনিক কারণে ২৪ পরগণা জেলার সদর বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তন করা হয়েছে ।
১৮২৪ সালে সদর কোলকাতা থেকে বারুইপুরে আসে ১৮২৪ সালে আনা হয় আলিপুরে ।
১৯৮৬ সালে বিভাজনের ফলে উত্তর চব্বিশ পরগণার সদর হলো বারাসাত ও
দক্ষিন চব্বিশ পরগণার সদর আলিপুর । ১৫/০৪/১৯৪৭ -এ বনগাঁ মহকুমা পূর্ব
পাকিস্তানে ছিল, ২৭/০৯/৪৭ তারিখে ১৪৮৬ নং সরকারী বিজ্ঞপ্তি অনুসারে বনগাঁ ও
গাইঘাটা থানা ২৪ পরগণা তথা ভারতবর্ষের সাথে মুক্ত হলো জরিপ ভবনের ইতিহাস
।
No comments:
Post a Comment